করোনায় যা খাবেন আর যা খাবেন না
ভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৬ লাখ, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ ।
এই করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা খাদ্য তৈরি, সংরক্ষণ ও পরিবেশন বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি যা আমরা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করতে পারি। এ সময়ে আমাদের কিছু বিষয় জানতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।
যেসব খাবার খাবেনঃ
১। আমিষ সমৃদ্ধ খাবারঃ পরিমিত মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বা ডাল এর যেকোন একটি আমিষ সমৃদ্ধ খাবার খান এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
২। স্যুপ বা তরল জাতীয় খাবারঃ ভেজিটেবল বা চিকেন স্যুপ, ডাবের পানি, হালকা গরম পানির সাথে মধু, লেবু বা আদা রস করে খান। সেই সাথে সকাল-বিকাল হালকা গরম চা পান করুন।
৩। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারঃ স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত সবজি ও ফল খান। সবুজ শাক-সবজি ও হলুদ ফলমূল যেমন আমলকি, পেয়ারা, কলা, লেবু, কমলা ইত্যাদি ফল খান। ফল ভালভাবে ধুয়ে খেতে হবে, অনেক আগের রান্না সবজি বা কাটা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ ব্যায়াম আপনার শরীরের মাংসপেশীকে অ্যাকটিভ করে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই প্রতিদিন ঘরে বসে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেনঃ
১। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবারঃ শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- ভাত, রুটি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
২। প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার বা প্রসেস ফুডসঃ অতিরিক্ত সুগার ও সল্ট জাতীয় প্রসেস ফুডস এড়িয়ে চলুন কারন এ জাতীয় খাবার পুরোপুরি হজম না হওয়ায় আপনার শরীরে টক্সিক উপাদান জমা হতে থাকে যা ক্রমশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
👉স্তন ক্যান্সার এর লক্ষণ ও প্রতিকার
৩। কাচা সবজি বা অর্ধসিদ্ধ খাবারঃ কাচা সবজি, সালাত ও অর্ধসিদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । ফ্রিজে রাখা খাবার অবশ্যই গরম করে খেতে হবে।
৪। ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবারঃ ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার রোগ ক্ষমতা কমাতে পারে তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে পরিহার করা ভালো।